Skip to main content

দ্য গ্রেট ইটালিয়ান সেলুন



পুরুষ-প্রসাধনের মত সহজ ব্যাপার এ পৃথিবীতে বিরল
সেই সহজাত সহজ হিসেব-কিতেব কে জমজমাট সাজিয়ে তলে লচ্ছমন সিংএর (লচ্ছমন , লক্ষণ বা লক্সমন নয়) এই গ্র্যান্ড ইটালিয়ান সেলুনবস্তুত একটি বাজারের থলি হাতে ঘুরে বেড়ান এই প্রোলিতারিয়েত হাবিবথলির সম্পদ নামিয়ে যে কোনও জায়গায় বসে যায় এই বিহারী যুবকের পথের পুরুষ-পার্লার
এক বোতল জল, একটি ক্ষুর,একটা চিরুনি, দুটি কাঁচি, একটি গামছা, একটা সেভিং ক্রীমের টিউব, একটা সেভিং ব্রাশ, একটা স্টীলের তোবড়ানো বাটি এবং একটি আধ-ভাঙ্গা ফিটকিরিএই সরল আসবাব সাজিয়ে যত্র-তত্র বসে যায় লচ্ছমনের দ্য গ্রেট বিহার সেলুন। লছ্মন জানালে যে চুল কাটতে সে নেয় ৭ টাকা, দাঁড়ি কামাতে ৪ টাকা এবং চুল-দাঁড়ি এক সাথে ছাঁটালে শুধু দু টাকার ছাড় পাওয়া যাবে তাই নয়, পাঁচ মিনিট মালিশও ফ্রী। এমন লোভনীয় অফার ফেলে যদি আপনি নামজাদা সেলুনে চুল-দাঁড়ির সঙ্গে পকেটটিও কাটাতে ঢোকেন তাহলে বলতেই হয় আপনি নিতান্তই একটা ইয়েআর হ্যাঁ, নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়, যে পুরুষ-প্রসাধনী সেলুনে যদি FDI’এর অনুপ্রবেশও কোনদিন ঘটে, লচ্ছমনের ব্যবসা টলানো অসম্ভব
পুনশ্চ: এই ছবিটি বিহারের বেগুসরাই জেলার সীমারিয়া-অর্ধ কুম্ভ মেলাতে (২০১১) তোলা।

Comments

Rezwan said…
আফসোস এখানে ইটালিয়ান সেলুনের বড় আকাল! গত সপ্তাহে ৪০ টাকা দিয়ে শুধু মাত্র চুল কেটে এলাম। :|
Arjun M said…
সিনহেশ্বর আমার ঠাকুরদার আমল থেকে family নাপিত ছিল। অর্থাৎ আমাদের পরিবারের সব পুরুষই চিরকাল ইটালিয়ান সেলুনে চুল কেটে এসেছে। সিনহেশ্বর কয়েক বছর হল মারা গেছে; এখন ওর জামাই রাজেশ আমাদের family নাপিত। কলকাতা গেলে এখনও, সেই ইটালিয়ান সেলুন। চুল কেটে আরামই আলাদা।

অত্যন্ত উন্নত মানের লেখা; ছোট দুটি paragraph এর মধ্যে অনেক গভীর কথা ঢেলে দিয়েছেন। আপনি পারেন বটে...সত্যি ঈর্ষা করি :)

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু