Skip to main content

শাহরুখ যদি


শাহরুখবাবু বাংলা প্রমোট করবেনভালো কথা
ব-ব-ব-ব-বাংলাআ-আ-আআ!” বলে নাইট-রাইডার্স অধিপতি দুলে উঠবেন, পশ্চিম বাংলা ঢেকুর তুলে গলা মেলাবেশাহরুখ ভক্ত হিসেবে আহ্লাদ কোথায় রাখিতবে রা.ওয়ান বলেই নাচবো আর বাংলা তুলে আ মরি আ মরিকরবো না, তা তো হয় না।
অতএব শাহরুখ বাবু, কয়েকটি ব্যক্তিগত মারপ্যাঁচে আপনার অভ্যস্ত হতে হবে, যদি না আপনি হিন্দ-মোটর ঘটিত এমবাসেডারের মত বঙ্গ-মানসে বাংলা-এমবাসেডার হয়ে মুখ থুবড়ে পড়তে না চান। কি কি এডজাষ্টমেন্ট করতে হবে আপনাকে? টুকে নিন:
১. কোলকাতা উচ্চারণ শিখুন স্যার। তুরন্ত!

২. সৌরভ বিনা নাইট-রাইডার্স আর পশ্চিম বিনা বাংলা একই কথা। পশ্চিম বাংলা বলে নাচুনি চালাবেন আর সৌরভ পুষবেন না, এসব চলবে না। মনে রাখুন, দাদা-ছাড়া ইডেন আর ঠাকরে-ছাড়া মুম্বই, একই ব্যাপার।
. লেনিন পড়ুন। মা-মাটি-মানুষ আবৃত্তি প্র্যাকটিস করুনতোতলামি বাদ দিয়ে
৪. মিষ্টি দই বা রসগোল্লা ভালো খান, এরকম প্রেস-বিবৃতি এখনো পাইনি। চটপট দিয়ে ফেলুন
৫. প্লিজ দাদা, ওই করবো-লড়বো মাফিক হেরো-গানটা এবার বাদ দিন। জাতীয়-স্তরে তো আর ইজ্জত রইল না
৬. কথায় কথায় উড়ন্ত-চুমু ভাসিয়ে দেওয়াটা বন্ধ করুন। আমরা মশাই ইণ্টেলেকচুয়াল জাতি, নেকু নয়। প্লিজ টেক কেয়ার।
৭. বাংলা সিনেমায় টুকটাক ভেসে উঠুন। আমাদের গরীব-গুর্বো টালিগঞ্জে টু-পাইস আসুক
৮.আসছে বছর দুর্গা-পুজোয় ম্যাডক্স-স্কোয়ারে ধুনুচি নেচে নিজের সেমি-বাঙ্গালিত্ব উদ্বোধন করুন।
৯. দৈনিক একটি কিমন আছো কলকত্তাগোছের টুইট-ঠুইট করতে যাবেন না, এন্তার প্যাঁক খেতে হবে।
১০. অবশ্যই, অবশ্যই মনে রাখবেন: “বাংলা Pepsi নহে”

(ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত, সত্ত্ব-আপত্তি জানালে চটপট সরিয়ে নেওয়া হবে)

Comments

Suhel Banerjee said…
Since I am not being able to exactly pinpoint the sarcasm in the post, though I can feel the weight of it throughout, I will say 'well written' and maybe even ask Sir to take note. But will take all of this back the moment I figure out the sarcasm!
তুমি কে জানিনা মামা, কিন্তু মালটা জাস্ট হেবি ছেড়েছ!

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু