Skip to main content

রবিবারের বৃষ্টি এবং ভাঁওতাগুলো

বন্ধুরা,


রবিবারের বৃষ্টি মানেই যদি খিচুড়ি হয় তবে ডাইনোসর মানেই স্পিলবার্গ। ওকে ? ওকে।

বৃষ্টি না থাকলেও রবীন্দ্রনাথ কবিতা লিখতেন এবং তাঁর দাড়িও গজাত। আর না, রবীন্দ্রনাথের ফেউ-গিরি করতে ঈশ্বর বৃষ্টিকে সৃষ্টি করেননি।

আমহার্‌স্ট স্ট্রিটে হাঁটু জলে নৌকা নামানো আনন্দবাজারি ছবি স্রেফ মিউনিসিপাল ফেলিওর, রোম্যান্স নয়। এবং ভেনিসিও সারকাজ্‌মটি জীবনানন্দের আগেই এক্সপ্যায়ার করেছে।

ছাতে ভিজতে ভিজতে “ হাউ বিউটিফুল” বলে ধেইধেই করবার সময় মনে মনে কফ সিরাপটা দেরাজে না টেবিলের ড্রয়ারে আছে ভাবতে থাকাটা স্রেফ ক্যালানে মার্কা আঁতলামো।

স্রেফ বৃষ্টিকে চুমু খেতে কোল্ড স্টোরেজের বিস্বাদ ইলিশের ওপর মানিব্যাগ উপুড় করে দেওয়াটা কিছুতেই ট্র্যাডিশনাল কেতা বলে মেনে নেওয়া যায় না। পকেটের রক্তপাত হয় না বলে খুন কে খুন বলবো না ?

চপ-ফুলুরি ইজ জাস্ট ফাইন। তবে গান্ডে-পিণ্ডে তেলেভাজার গেলার জন্য যদি বৃষ্টির অপেক্ষা করতে হয় তবে তো বছরে দশ মাস কালিকাকে বাদাম ও চানাচুর বিক্রি করতে হত।

সন্ধ্যেয় খোকা-খুকিদের ভুতের গল্প ? মোবাইল-বাজ ওই ছিঁচকে জেন-জেড’কে বরং খবরের কাগজ পড়ে শোনান, ভয় পেলেও পেতে পারে।  

প্রেম ? উত্তম-মাধবী-আজি-ঝর-ঝর বাদল দিনে টাইপ ? গাছের ফাঁকে ছাতার তলে ? বলিহারি।



যে বৃষ্টির ছিটে মেশানো মিঠে হাওয়া নিয়ে আপনার কবিতা পাচ্ছে, আপনার জানা উচিৎ যে সেই হাওয়া হচ্ছে ভেতো লাংসের জন্যে জেনুইন বিষ। কফি হাউসিও সিগারেট আঁতলামোর ডেঞ্জারাস।

এ-ওয়াক-ইন-দ্য রেইনের আদুরে-পনা বলতে যদি রাস্তায় কাদা ও ড্রেনের জল মেশানো স্নেহ-মণ্ডের প্রতি আপনার ওয়াক-থুঃ হয়, তবে অবশ্য কিছু বলার নেই।


পুনশ্চ –
লুক হিয়ার মাই ফ্রেন্ড্‌জ, পাড়ার সেলুনে গিয়ে পঁচিশ টাকায় মাথা ম্যাসাজ করে আসুন, নারায়ণ দেবনাথ পড়ুন, কষে সর্ষের তেল মেখে স্নান করুন। দুপুর-ঘুমের আগে আনন্দবাজারের শব্দজব্দ সল্ভ করতে বসে নিজে একটু জব্দ হোন। বেসিক্যালি, একটা চমৎকার ছুটি কাটান। রবিবারের বৃষ্টি বলে অমন মাখো-মাখো বাতেলার কোনও মানে হয় না।  
  

Comments

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু