Thursday, October 20, 2011

জন্মদিন




আঠাশ,
পাঁচ বছরের প্রাণের বন্ধু বিল্টা এখন বেপাত্তা
সাত বছরের হাঁটুর চোটের স্টীচের দাগ এখন বেমালুম শুকনো
দশ বছরের চাঁদের পাহাড় এখন মলাট-ধর্ষিত হয়ে ঘরের কোনো কোণে রগরাচ্ছে।
এগারো বছরের অঙ্কে ফেল এখন মুচমুচে ফুর্তি-স্মৃতি।
পনেরোর প্রেম সতেরো-বার কবরে ঢুকেছে।
ষোলোর বন্ধুত্ব এখনো কনক্রীট।

সতেরোর সিগারেট ফুসফুসে আলতো চিমটি কেটে সরে পড়েছে।
উনিশের কফি হাউস এখন ডিস্টিল্ড আঁত্‍লামো।
একুশের পরীক্ষামূলক চুমুক এখন পরিশীলিত হূইস্কি।
তেইশের পরিচয় এখনো সংসারী অভ্যেস।
চব্বিশের ইন্টারভিউ এখন চাল-ডাল-তেল-নুন।
আঠাশ; তিরিশ ক্রমশ সত্যি বলে হচ্ছে।

তবু! ফেলুদা, শঙ্কর-আলভারেজ, সুমনের গান, সৌরভ-গাঙ্গুলীও পাগলামি, পুরনো চিঠি-পত্র; শরীরে ভেতর কৈশোর ধরে রাখবে আজীবন।অন্তত এই বিশ্বাসটা থাক।
আর যতদিন, জন্মদিনে মার রান্না পায়েসের বাটি মুখের সামনে এগিয়ে আসবে; বয়সের পিতামহর ক্ষমতা নেই আমার থেকে আমার শৈশব কেড়ে নেয়।


"La La Lalla To Me, La La Lalla To Me, La La Lalla, La La Lalla, La La Lalla To Me"

1 comment:

Anonymous said...

asadharan.....chaliye jao dada