Skip to main content

বউ-লেস চিলি চিকেন



“A Man is emancipated from the clutches of his wife, when he successfully makes Chilli Chicken all by himself, in his own kitchen, in the absence of his wife” ~ An Old Chinese Saying

প্রশ্নচিহ্ন :
বউ বাড়ি না থাকলে পাউরুটি-আমূলস্প্রে খেয়ে থাকতে হবে? সেদ্ধ-ভাত'ই বা খেতে হবে কেন? রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়ার আনতে যাওয়াই বা জরুরি কেন?
বউ বাপের বাড়ি গ্যাছে বলে রোববার রাত্রে বাড়িতে মুরগি ঢুকবে না এটা কি কোনো ইজ্জতের কথা হলো?
অতএব :
@finelychopped (টুইটার পরিচিতি) ব্লগে হানা দিলাম (মুম্বাই-বাসী কল্যাণ কর্মকারের এই ব্লগ'টি যে কোনও খাদ্য-রসিকের কাছে একটি সোনার খনি, যারা এখনো এই ব্লগ'টি তে যান নি, এই পোস্ট পড়া বন্ধ রেখে আগে গিয়ে ওই ব্লগটা দেখুন) চিলি চিকেনের সহজ অথচ গরম রেসিপি টুকে নিলাম, আর তারপর...তারপর.. ইতিহাস নেমে এল রান্নাঘরে।
রেসিপিটা এত সহজে এক লাইনে সাজিয়ে দিয়েছেন @finelychopped যে সেটাকে বাস্তবায়িত করা অতি সহজ
Heat oil, add chopped garlic, add soy sauce and chili sauce, add, chopped onion bulbs, add chicken, salt and ajino moto, stir till cooked and oil dries, add green chillies. End of story. Ten minutes from start to Finish
আমি শুধু সামান্য দুটো ইনোভেসন গুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করেছি :
১. চিকেন'টা কে এক ডিম ফাটিয়ে ও সামান্য নুন-শুকনো লঙ্কার গুড়ো, কর্ণ-ফ্লাওয়ার দিয়ে ৩০ মিনিট ম্যারিনেট করে রেখেছি (ডিম'এর প্রতি আমার অগাধ আস্থা, পারলে..ইয়ে..শুক্ত'তেও )
২. মূল রান্নার আগে চিকেনটাকে অল্প আঁচে একটু ভেজে নিয়েছি
ব্যাস.. তারপর @finelychopped'এর সহজ লাইন মেপে চালিয়ে দিয়েছি
ফলাফল? অনবদ্য, অভাবনীয়, ঐতিহাসিক
বউ ছাড়া রান্না ঘরে মুরগি ঢুকবে না, এই পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে গ্যালো...
"আমার প্রথম চিলি চিকেনে রাঙানো ভাত এক কাঁড়ি / আমি কি ভুলতে পারি " - প্রাচীন চিনা গণ-সঙ্গীত (দয়া করে ক্রস-চেক করতে যাবেন না)

১. যা যা দরকার

Comments

Kalyan Karmakar said…
Shaadhe Didi bolechhen "I am an ordinary man"?

Tahole aamra shotti shaadhin
Suhel Banerjee said…
Can't begin to express how proud you have made me and all young, Bengali men like us. Also, the food looked delicious and @FinelyChopped found a new follower in me.

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু