
পুজো আসছে! এর চেয়ে আদিম, গভীর ও সপাং মার্কা কোনো Enlightenment অন্তত আমি জানি না! আর এই পুজো'istic হোম ওয়ার্ক সব চেয়ে গভীর ভাবে করতে দেখতাম আমাদের পাড়ার পুজো কমিটির ক্যাশিয়ার বিলুদা কে!
সেপ্টেম্বর পড়া মাত্তর বিলুদা কয়েকটা সোজাসাপ্টা কাজ সেরে ফেলতো:
১. পুজোবার্ষিকী সমস্ত যত পত্রিকা কেনা: ( দেশ কিনতো শো কেসে সাজিয়ে রাখতে, শুকতারা/আনন্দমেলা কিনতো পড়তে এবং আনন্দলোক কিনতো, ইয়ে মানে শুধু ছবি দেখতে বোধ হয়)
সেপ্টেম্বর পড়া মাত্তর বিলুদা কয়েকটা সোজাসাপ্টা কাজ সেরে ফেলতো:
১. পুজোবার্ষিকী সমস্ত যত পত্রিকা কেনা: ( দেশ কিনতো শো কেসে সাজিয়ে রাখতে, শুকতারা/আনন্দমেলা কিনতো পড়তে এবং আনন্দলোক কিনতো, ইয়ে মানে শুধু ছবি দেখতে বোধ হয়)
২. দু চার খানা পুজো'র গান'এর ক্যাসেট কিনতো (তখনো সি ডি ব্যাপারটা ঠিক চালু হয়নি)! গান টান শুনে প্রত্যেকবার দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতো, "জীবনমুখী ব্লাফ'এ রগড়ে দিলে!"
৩. পুরি,সিমলা, গোয়া থেকে থাইল্যান্ড পর্যন্ত ঘুরে আসবার প্ল্যান করে ফেলতো, এবং কোনোবারই বক-খালির বেশি এগোতে পারেনি!
৪. ফতুয়া কিনতো অঞ্জলি দেওয়ার জন্যে এবং শুক্লাদী'র সাথে অষ্টমীর বিকেলে ফুচকা খেতে যাওয়ার জন্যে, গামছা কিনতো ভোগ বিতরণ'এ হল্লা-বাজি করতে, দুর্দান্ত একটা চেক শার্ট কিনতো একটা জীবন পাল্টে দেওয়া ইন্টারভিউ'এর জন্য আর প্রত্যেক বার ঠিক করতো যে পা'এর জুতো'টা একটু ঘষে-মেজে গেলেও আরও এক বছর চলে যাবে!
৫. পাড়ার থিয়েটার দল'এর লিডার নিলু'দার পিছনে ঘুর ঘুর শুরু করতো নবমীর থিয়েটারে একটা রোলের জন্যে; চাকর-সৈনিক-ডাক্তার; যে কোনো ভাবে!
৬. প্রত্যেক বিজয়া দশমী তে প্রতিজ্ঞা করতো 'সিদ্ধি খেয়ে ধুনুচি নেচে Public Spectacle নামানো এইবারই শেষ'!
শুধু এক অষ্টমীর দিন, যেদিন শুক্লাদির বিয়ের পাকা কথা হয়ে গ্যালো ডাক্তার পাত্রের সাথে, বিলুদা নতুন নীল রং'এর ফতুয়া গায়ে চাপিয়ে সোজা গিয়ে শুয়েছিল রেল লাইনে! পুরি এক্সপ্রেস ঝম ঝম রক্তে ভিজিয়ে গেছিলো বিলুদা'র নীল ফতুয়া!
Comments
besh bhalo laglo.
besh bhalo laglo.