Sunday, August 13, 2023

কোড রেড আর এজেন্ট মন্টু

স্পাই হওয়ার যে কী ঝামেলা! মনের সুখে বারো মিনিট সময় নিয়ে যে একটু চুল আঁচড়াবো, তারও উপায় নেই৷ সবে স্নান করে বেরিয়ে কাপড়জামা পরে  আয়নার সামনে দাঁড়িয়েছি। গোটা ঘরময় নারকোল তেলের মনোহারিণী সৌরভ। একদিকে সে তেলের গুণে চুল চপচপ করছে, অন্যদিকে তার সুবাসে মনেপ্রাণে আলাদা জেল্লা এসেছে। দিব্যি পরমানন্দে চুল আঁচড়াচ্ছি আর দুলে দুলে মাংস ম্যারিনেট করার কথা ভেবে মনেমনে চমৎকৃত হচ্ছি। এমন সময় আমার রিস্টওয়াচের এমার্জেন্সি অ্যালার্ম উঠল বেজে৷ 

প্যাঁপোরপোঁপ্যাঁপোরপোঁপোঁপোঁপোঁপ্যাঁপোরপো।  

সে এক মারাত্মক পিলে চমকানো শব্দ। নেহাৎ আমার পিলে ইস্পাত-কঠিন৷ ঘুমের মধ্যে দু'চারটে হাইড্রোজেন বোমা ফাটার শব্দ কানে এলেও আমি বড়জোর আড়মোড়া ভেঙে বলবে "আহ্, এ'টা পটকা ফাটনোর সময় হল নাকি"৷ 

এ শব্দের মানে একটাই হয়৷ হলও তাই৷ অ্যালার্ম থামার আড়াই সেকেন্ডের মাথায় ঘটরঘটরঘটঘট শব্দ৷ বাড়ির ওপর হেলিকপ্টার, ক্যাপ্টেন টক্কা এসে পড়েছেন তা'হলে৷ ড্রেসিংটেবিলের পাশের গ্রিলহীন জানালাটার পাল্লা খোলাই ছিল, সে'খানে দিয়ে দড়ি নেমে এসেছে। ক্যাপ্টেন টক্কার সবেতেই বাড়াবাড়ি,  সদর দরজা দিয়ে বেরোনোর সময়টুকু দিতেও মন সরে না৷ যা হোক, চুলে পরিচর্যা ছেড়ে জানালা দিয়ে গলে গিয়ে দড়ি ধরে ঝুলে পড়তেই দড়িটা সুরসুর করে ওপরে টেনে নেওয়া হল। 

হেলিকপ্টারে উঠে দেখি ক্যাপ্টেন মুড়িমাখায় পরিপূর্ণ একটা ঢাউস বাটি কোলে নিয়ে বসে আছেন৷ ভদ্রলোক হামলে পড়ে কচরমচর করে মুড়ি চেবাচ্ছেন না, তার মানে নির্ঘাৎ ব্যাপারটা গোলমেলে। পাশে বসতেই মুড়ির বাটি আমার দিকে এগিয়ে দিলেন ক্যাপ্টেন টক্কা৷ থ্যাঙ্কিউ বলে মুঠো বড় করে যতটা সম্ভব মুড়ি  তুলে নিলাম।

"কোড রেড", মিইয়ে যাওয়া গলায় জানালেন ক্যাপ্টেন।

অমন আচারের তেল দিয়ে কষে মাখা মুড়ি; তবু হাতের মুড়ি হাতেই রইল, মুখে চালান করা সম্ভব হলনা! এ কী খবর শুনলাম! কোড রেড!

- কোড রেড? আপনি নিশ্চিত? 

- নয়ত আর রোববার দুপুরের ভাতঘুমের বারোটা বাজিয়ে হেলিকপ্টারে টোটো করছি কেন বলো ভাই মন্টু।

- প্রাইম মিনিস্টার কী বলছেন?

- গত আড়াইঘণ্টা ধরে তিনি অস্থির হয়ে ঘুরপাক খেয়ে চলেছেন। মাঝেমধ্যেই বলে চলেছেন " ওরে তোরা কে কোথায় আছিস, বড় এক গেলাস মিছরির সরবত নিয়ে আয়, জলদি"। সেক্রেটারি যখনই মনে করাচ্ছেন যে ওঁর সরবত খাওয়া বারণ তখনই  খেঁকিয়ে উঠছেন।

- সেনাপ্রধান কিছু ফন্দিফিকির বের করেছেন কি?

- আরে আর্মির সবেতেই চালাও মুগুর পেটাও কুকুর ব্যাপার৷ এই জটিল সিচুয়েশনে সেনাবাহিনীকে খোলতাই অপারেশনে নামালে দেশের মানুষ অস্থির হয়ে পড়বে যে।

- তবে উপায়?

- ও মা! তোমায় নিয়ে যাচ্ছি কী করতে?

- আবার আমি কেন। এই সবে চারটে বড়সড় হ্যাকিং অ্যাটাকের প্ল্যানে জল ঢেলে দেশে ফিরেছি৷ কোথায় একটু জিরিয়ে নেব..।

- আরে ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে কেন এজেন্ট মন্টু? কোড রেড! গত সতেরো বছরে এই প্রথম!

- তা'তে অত লাফানোরই বা কী হয়েছে বলুন৷  গত সেঞ্চুরিতে শুনেছি এ'সব জলভাত ছিল।

- তবে আর কী! সে অন্ধকার শতক ফিরিয়ে আনলেই হয়৷ শোনো, এ'টা একবিংশ শতক নয়৷ আর তুমিও নেকুপুষুসুন্টুনিমুন্টুনি নও।

- রেডকোডটা কোথায় ফ্ল্যাশ হয়েছে?

- লোকালই। বেহালায়। 

- ওহ। তাই হেলিকপ্টারে চেপে যাওয়া। ইয়ে, বেহালা মেট্রোটা কবে চালু হবে বলুন দেখি ক্যাপ্টেন?

- সে খবর ভগবানই জানেন। তবে এই সুযোগে ও'দিকে একটা ফ্ল্যাট কিনে রাখব ভেবেছি, মেট্রো চালু হলে যদি দামটাম বাড়ে। বুঝলে কিনা, রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট। যাক গে। কথা ঘুরিও না৷ কোড রেড।

- দ্যাবাটি কে?

- শ্রীমান নিমো দত্ত। বয়স বত্রিশ৷ নিবাস বেহালা।

- দেবী?

- মিলি সরকার। বয়স বত্রিশ৷ নিবাস বেহালা।

- নিমো দত্ত মিলি সরকার; বেশ। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার।

- তোমায় চৌরাস্তার মোড়ে নামিয়ে দিচ্ছি। তোমার ডিজিটাল ওয়েলেটে ওদের পরিচয় ঠিকানা সব দেওয়া আছে।

- মুড়িটা বড় ভালো মেখেছিলেন ক্যাপ্টেন। 

**

একটা আধোঅন্ধকার ঘর। একটা সুবিশাল লম্বা টেবিল, তার একদিকে দু'টো চেয়ার, আর মুখোমুখি অন্যদিকে একটা চেয়ার৷

একদিকে পাশাপাশি বসে নিমো আর মিলি; তাদের সদ্য ঘুম ভেঙেছে। টেবিলের অন্যপাশে একপেশে ভেজা-বেড়াল মুখ নিয়ে বসে আমি; এজেন্ট মন্টু।

নিমো: র‍্যানসম কী চাই সে'টা বলে দিলেই মিটে যায়৷ তবে আগেই বলে দিই, মিস মিলির হয়ে র‍্যানসম আমি দেব না। আমার বয়ে গেছে!

মিলি: ওর র‍্যানসম আমার চাইও না৷ কিন্তু ওর পাশে আমায় বসানোর জন্য আমি আপনার থেকে কম্পেনসেশন দাবী করব। সে আপনি গুণ্ডামস্তান যাই হোন না কেন!

আমি: আচ্ছা, শুনুন..।

নিমো: শুনেছেন কিডন্যাপারবাবু? শুনেছেন কেমন রুডলি কথা বলে? যেন দুনিয়ায় সবার মাথা কিনে নিয়েছে! দেখিয়ে দিন দেখি নিজের পিস্তলটিস্তল কিছু! তখন মামনি বুঝবে কত ধানে কত চাল! 

আমি: আরে ভাই নিমো..।

মিলি: ওঁর মুখ দিয়ে তো মধু ঝরে। তাই না? লায়্যার! শুনুন, আপনি কেন আমাদের কিডন্যাপ করেছেন আপনিই জানেন৷ তবে এই চিজটির থেকে সাবধান থাকবেন৷ আপনাকে ডান হাতে কিনে বাঁ হাতে বেচে দেবে, ধরতেও পারবেন না।

আমি: এই সেরেছে..।

নিমো: আমি লায়্যার? তুমি ফ্রড। তোমার চোদ্দগুষ্টি ফ্রড।

মিলি: ওই তো৷ একটু খোঁচাতেই বেরিয়ে এলো দাঁত-নখ৷ বাহ্ বাহ্৷ গুষ্টি তুলে কথা! ইস, এর পাশে বসতে আমার গা ঘিনঘিন করছে। 

আমি: দাদাভাই, দিদিমণি...একটাবারে জন্য যদি..।

নিমো: তোমার পাশে বসে আমার গা জ্বলছে। জাস্ট গা জ্বলছে।

মিলি: গণ্ডারের চামড়ায় জ্বালা ধরিয়েছি৷ আমায় ধন্বন্তরি বলতে হবে।

নিমো: দেখুন স্যার৷ আমায় ফ্যাটশেম করছে।

মিলি: ছি ছি। মিথ্যে সবসময় জিভের ডগায় ঝুলেই থাকে না? আমি তোমায় বেহায়া বলেছি!

আমি: আরে ধুচ্ছাই।

নিমো: এই আমি বলে রাখছি কিন্তু..!

আমি: চোপ! 

মিলি: আপনি ওইভাবে চোপ বলতে পারেন না৷ খুন করতে হয় করুন, কিন্তু মাইন্ড ইওর টোন।

আমি: আমি নিমোবাবুকে চোপ বলেছি..।

মিলি: কেন বলবেন?  কিডন্যাপ করেছেন বলে কি ওর মাথা কিনে নিয়েছেন?

নিমো: থ্যাঙ্কিউ মিলি।

মিলি: তুমি একদম গায়ে পড়ে কথা বলবে না!

আমি: দেখুন। প্লীজ। প্লীজ আমায় দু'মিনিট কথা বলতে দিন।

মিলি: আপনাকে তো কথা বলতে কেউ বারণ করেনি। খামোখা হাইপার হচ্ছেন কেন?

নিমো: ঠিক বলেছ মিলি। একদম ঠিক..।

মিলি: ন্যাকামি কোরো না নিমো। আর নেওয়া যাচ্ছে না!

আমি: এই শুনুন। আপনারা যদি এ'বার চুপ করে না শোনেন আমি আপনাদের সোশ্যাল রেজিস্ট্রি কোড এ'দিক ও'দিক করে সে'খানে সুকুমার রায়ের ছড়া ফীড করে দেব৷ দেখবেন তারপর হয়রানিটা। 

মিলি (সুর নরম করে): পাষণ্ড!

নিমো (মিইয়ে আসা গলায়): ঠিক বলেছ মিলি৷ লোকটা কেমন যেন..।

মিলি: প্লীজ নিমো। আর নয়।

নিমো (গলা উঁচিয়ে): এই কী মতলব মশাই আপনার? বলে ফেলুন৷ এখুনি।

আমি: সতেরো ঘণ্টা আগে আপনাদের প্রেম ভেঙেছে৷ আপনারাই ভেঙেছেন। 

নিমো (ভিজে সুরে): আর বলবেন না সে যে কী ট্র‍্যাজেডি..।

মিলি: ইন্ট্রুশন অফ প্রাইভেসি! আপনি কে বলুন দেখি?

নিমো (ফের আগুন কণ্ঠে): হ্যাঁ। আমিও তাই বলতে চাইছিলাম। আপনি কে?

আমি: প্লীজ। আমায় বলতে দিন। ন্যাশনাল সোশ্যাল রেজিস্ট্রি অনুযায়ী আপনারা রাজজোটক। আপনাদের প্রেম তাই অবশ্যম্ভাবী ছিল৷ আগামী কয়েকদশকের প্রজেকশনে আপনাদের একসঙ্গে থাকার কথা; ন্যাশনাল প্রডাক্টিভিটি কোশেন্টে দিক থেকে সে'টাই অপটিমাম৷ আপনাদের প্রেম ভেঙে যাওয়াটা তাই ন্যাশনাল প্ল্যানিং বহির্ভূত ব্যাপার৷ কোড রেড! আমি এজেন্ট মন্টু, সরকারের তরফ থেকেই ব্যাপারটা শুধরে দিতে এসেছি।

নিমো (সামান্য গদগদ মেজাজে): ওহ। তাই বলুন৷ বেশ। দেশের প্রয়োজনে যদি প্রেম করতে হয় তা'হলে আমরা আর কী করতে পারি৷ তাই না গো মিলি? তা'হলে ওই কথাই রইল..।

মিলি: তুমি থামো! যত্তসব ন্যাকাপনা! রাবিশ!

নিমো (ফের আগুন): ইয়ে..মানে। হ্যাঁ! তাই তো! একদম না৷ খবরদার যদি আবার প্রেম জোড়ার কথা শুনেছি। উফ, ডিসগাস্টিং। আমি আপনার নামে কেস করব মন্টুবাবু!

আমি: কেন বুঝতে পারছেন না৷ আমাদের রেজিস্ট্রি সমস্ত সিমুলেশন চালিয়ে দেখে নিয়েছে। একে অপরের জন্য আপনারা পার্ফেক্ট৷ এ প্রেম ভাঙলে ক্ষতি শুধু দেশের নয়, আপনাদেরও। 

নিমো (মাথা নেড়ে): তবে! এত ক্ষতি তো মেনে নেওয়া যায় না!

মিলি: তুমি অসহ্য নিমো!

আমি: শুনুন মিলি..।

মিলি: আপনি আমার কথা শুনুন এজেন্ট মন্টু। আপনাদের সিস্টেম খুবই মজবুত। ন্যাশনাল সোশ্যাক রেজিস্ট্রি খুবই বড় মাপের একটা ডিজিটাল ম্যাজিক৷ সব মেনেও বলছি; আপনাদের হিসেবে ভুল আছে। কেন জানেন? আমাদের এত বছরের সম্পর্কে কোনও বিষয়ে আমরা একে অপরকে একটি বারের জন্যও সরি বলিনি৷ নিজের ভুল স্বীকার করিনি! ও করেনি, আর আমি স্বীকার করছি আমিও করিনি৷ এ'টাও একধরণের বিষিয়ে যাওয়া৷ অবশ্য এজেন্ট মন্টু সে'টা বুঝবেন কিনা আমি জানি না।

নিমো: মিলি..।

মিলি: কোনওদিন বলেছ নিমো? নিজের কোনও একটা ভুলের জন্য একটা সরি বেরিয়েছে তোমার মুখ দিয়ে? আমি স্বীকার করে নিই আমিও কোনওদিন কোনও ব্যাপারে সরি বলিনি...নিজের ভুল স্বীকার করার প্রয়োজন বোধ করিনি৷ কোথাও তো একটা বড় গলদ আছে। তাই না?

আমি: মিলি। মন দিয়ে শুনুন। আপনার মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনের ড্রাফটে দু'শো বাইশটা আনসেন্ট মেসেজ আছে, যে'গুলো নিমোবাবুকে আপনি পাঠাতে গিয়েও পাঠাননি, বিভিন্ন সময়ে৷ সবকটা মেসেজই "সরি" লেখা, আছে আন্তরিক ক্ষমাপ্রার্থনা। পাঠানো হয়নি বলে কি ড্রাফটগুলো মিথ্যে হয়ে যাবে?

নিমো: মিলি..?

মিলি: ছি ছি! এ দেশে গভর্নেন্সের নামে প্রাইভেসিকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। কন্সটিটিউশিনটা ফেলেই দিন না...সে'টা নিশ্চয়ই মানুষকে অন্য মানুষের ড্রাফট মেসেজ ফোল্ডারে উঁকি দেওয়ার অধিকার দেয়নি?

আমি: আপনার ব্যক্তিগত মেসেজ পড়ার অধিকার আমার নেই৷ কোনও মানুষেরই নেই। সে ব্যাপারে আমাদের প্রতি আস্থা রাখতেই পারেন। আপনার ড্রাফট ফোল্ডারের মেসেজ দেখে কোড রেড ঘোষণা করেছেন প্রাইম মিনিস্টার; গত সত্তর বছর ধরে যিনি দেশ পরিচালনা করছেন৷ আগামী হাজার বছর যিনি করবেন৷ একজন সুপার-হিউম্যান আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা চালিত রোবোট আপনার মেসেজ পড়েছেন; কোনও মানু্ষ নয়। তিনিই আমাদের জানিয়েছেন। 

মিলি: তবুও..আপনার কী মনে হয় মন্টুবাবু? এ'টা ঠিক?

আমি: নিমোবাবুর ড্রাফট মেসেজ ফোল্ডারে আপনার জন্য লেখা কিন্তু সেন্ড না করা বারোশো বিরানব্বুইখানা মেসেজ আছে৷ প্রতেকটাই সরি বলতে। 

মিলি: এজেন্ট...।

আমি: চারশো বিরানব্বুই। আর দু'শো বাইশ।  সাতশো চোদ্দটা সরিদের খাঁচা খুলে বের করে দিয়ে গেলাম। দেখুন, যদি নতুন করে শুরু করতে পারেন৷

***

কোড রেড কেটে যাওয়া সুখবরটা ক্যাপ্টেন টক্কার রিসিভারে ট্রান্সমিট করে পাবলিক হেলিকপ্টারের লাইনে দাঁড়ালাম। মিলি নিমোর হাত ধরে তাঁকে নিজের কাছে টেনে নেওয়ায় যে প্রবল স্বস্তি পেয়েছিলাম তা বলাই বাহুল্য। তবু, মনের মধ্যের খচখচানিটা কিছুতেই যাচ্ছিল না। সব কিছুকে হিসেবের বাড়াবাড়িতে বেঁধে ফেলছি না তো?

নাহ্, এ'সব গোলমেলে চিন্তা অবিলম্বে মাথা থেকে উড়িয়ে দেওয়া উচিৎ৷ অফিসফেরতা প্যাসেঞ্জারদের লম্বা লাইন আমার সামনে৷ একজন ঘটিগরমওলাকে একটা স্পেশ্যাল বানাতে বলে একটা বাউল ধরলাম।

No comments: