Skip to main content

সিলভার লাইনিং


- এই যে মিস্টার প্ল্যাটিরিঙ্কোস! ডেটা তৈরি? 
- ইয়েস ম্যাডাম। স্প্রেডশিট আর সামারি তৈরি।
- শুনি। হাইলাইটস।
- আপনার পায়ের কাছে এ বছর যা যা বই ডিপোজিট হয়েছে সে'টা অ্যানালিসিস করে একটা ব্যাপার স্পষ্ট। ট্রেন্ড এ বছরেও পাল্টায়নি। বাহান্ন শতাংশ বই অঙ্কের।
- ধুস। অঙ্ক ভুল ভাবে শিখিয়ে শিখিয়ে আমরা একের পর এক ভিতু জেনারেশন তৈরি করছি। এ আর পাল্টানোর নয়। 
- স্পেশ্যাল ট্রিভিয়া ম্যাডাম। জমা পড়া অঙ্কের বইয়ের মধ্যে বত্রিশ শতাংশ বই হচ্ছে গাইড বই আর সাজেশনের খাতা। যা কিনা গত বছরের তুলনায় সাড়ে ছয় শতাংশ বেশি। 
- এর মানে খবরের কাগজে জ্যোতিষ আর তুকতাকের বিজ্ঞাপন বেড়েছে, তাই না মিস্টার প্ল্যাটিরিঙ্কোস? 
- ইনক্রেডিবল। জ্যোতিষ চর্চার বিজ্ঞাপন ঠিক সাড়ে ছয় শতাংশ বেড়েছে। ইয়ার অন ইয়ার।
- কনেকশনটা স্পষ্ট ভাই প্ল্যাটিরিঙ্কোস। এত হিন্ট দেওয়ার চেষ্টা করি। সব জলে। সবাই কুল খাওয়ার ডুজ অ্যান্ড ডোন্টস নিয়ে পড়ে আছে। নাহ্, এ'সব ডেটা নিয়ে পড়ে থেকে লাভ নেই। ও স্প্রেডশিট আমার ডেস্কটপে এক কপি সেভ করে দিও। খামোখা প্রিন্টট্রিন্ট নিয়ে ফাইল মোটা করতে যেও না। সিলিভার লাইনিং কিস্যু নেই কোথাও।
- ইয়ে।
- কী ইয়ে?
- একটা মাইনর অ্যানোমালি আছে ম্যাডাম। 
- মাইনর? কী?
- না মানে, এ'টা সিলভার লাইনিং কিনা জানিনা। আপনার পায়ের কাছে জমা পড়া সমস্ত কেতাব দস্তাবেজের মধ্যে খান তিরিশেক ইয়ে...পাওয়া গেছে।
- আবার ইয়ে?
- কয়েকটা মেনুকার্ড। তিনটে আরাসালান, পাঁচটা সিরাজ, দু'টো আমিনিয়া এট সেটেরা...। আর কয়েকটা ট্র‍্যাভেল ব্রশার...কুণ্ডু ট্র‍্যাভেলস টাইপের। ব্যাপারটা কী ভাবে যে ইন্টারপ্রেট করব ম্যাডাম...!
- ফাদার অফ সিলভার লাইনিং মিস্টার প্ল্যাটিরিঙ্কোস! আশা আছে, ডেফিনিটলি আছে।


Comments

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু