- ও মশাই। লোয়ার বার্থটা আপনার?
- হ্যাঁ।
- আচ্ছা। আমার আপার বার্থ, এই আপনার মাথার ওপরেরটাই।
- আই সি।
- একটা কথা ছিল।
- কী?
- বলছিলাম যে, এই লোয়ার আপনার, কিন্তু জানালার সিট আমার। কেমন?
- নাহ। তার দরকার দেখছি না। লোয়ারও আমার, জানালার পাশের সিটেরও আমার।
- নাহ্।
- না মানে? আলবাত আমার। আমি জানালার সিটে বসে আছি বলে আমার। আপনি বরং এই পাশে এসে বসুন।
- পাশে?
- আজ্ঞে। পাশে।
- অর্জুন গাণ্ডিব ছেড়ে গদা নিয়ে কেরদানি দেখাচ্ছে, তেমনটা কোনও দিন শুনেছেন?
- আপনি অর্জুন? এই জানালা গাণ্ডিব?
- এখন একটা কুরুক্ষেত্র বাধলে তার ডেমোন্সট্রেশনও পেয়ে যাবেন।
- শুনুন। জানালার পাশে আমি বসে আছি। এবং আমি উঠব না। আপনার বসতে না হলে বসবেন না।
- আহ। আপনি জানালার পাশে বসে থাকলে তবে তো উঠে যাওয়ার প্রশ্ন। আপনি তো জানালার পাশে বসেই নেই। শুধু একটু সরে আসুন, নয়তো আমার ও জানালার পাশে বসা হবে না। আর ট্রেনের জানালার পাশে কেউ না বসলে বেচারি জানালাদের প্রাণে কেমন মার্ডারাস বজ্রপাত হয় জানেন?
- আমি সশরীরে জানলার পাশে বসে আছি, আর আপনি বলছেন আমি জানালার পাশে নেই?
- আপনি জানালার পাশে নয়, জানালা অবস্ট্রাক্ট করে বসে আছেন।
- মানে? হাউ?
- এমন মন কেমন করা ফুরফুরে হাওয়া, মন কেমন করা আকাশ! দিব্বি সবুজ চারপাশ হুশহাশ বয়ে যাচ্ছে জানালার ও পাশে, আর আপনি খবরের কাগজ চোখের সামনে মেলে বসে আছেন। অমন ভাবে ট্রেনের জানালাদের থার্ড ডিগ্রি দিতে নেই মশাই। আসুন। সরে আসুন। আমি জানালাটার পাশে গিয়ে বসি, বেচারি একটু স্বস্তি পাক।
- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না। - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো। - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত। - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র। - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...। - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা
Comments