- পাঁচশো বত্রিশ খানা হাইড্রোজেন বোমা!
- পাঁচশো তেত্রিশ নম্বরটা?
- আরশোলা ঢুকে সার্কিট নষ্ট করে দিয়েছে। তবে এ ক'টাই যথেষ্ট।
- ইকুয়েডোর বা চুঁচুড়া বেঁচে যাবে না তো?
- নাহ্! হিসবের ব্যাপার। সব কচুকাটা হবে। ওয়াশিংটন টু টোকিও। খতম। এভ্রিথিং। ফিনিশ।
- বেশ। সলতেয় আগুন দেব কখন?
- এই সবাই সব কিছু বুঝে গেল বলে। আর খান কুড়ি সেকেন্ড। এই। এই। এই। দুনিয়ায় সবাই সব বুঝে গেছে। কম্পিউটার কনফার্ম করেছে।
- হুর্রে।
- হুর্রে! বোমা টাইম। আর দশ সেকেন্ড।
- নয়।
- আট।
- সাত।
- ছয়।
- পাঁচ।
- চার।
- তিন।
- দুই।
- এক।
- গো।
- যাচ্চলে।
- কী হল?
- দেশলাই কোথায় আছে?
- জানি না। তুমি জানো? দেশলাই কোথায়?
- নাহ্! গেল। সব গেল। কম্পিউটার এবারেও গুল ঝেড়ে বেরিয়ে গেল।
- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না। - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো। - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত। - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র। - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...। - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা
Comments