Skip to main content

খুচরো প্রেমের গল্প

তিথি দরজা খুলে দেখলে নিমু দাঁড়িয়ে। এদিকে ঘরের ভিতরে সমরের লাশ। তিথি নিমুকে জড়িয়ে ধরল।
ওদিকে নিমুর পিছনে দাঁড়িয়ে ঘাড় পছন্দ করছিল সমর।



**

থার্ড ক্লাসটা ছিল অডিটের।
দীপার নজর এড়িয়ে ওর খাতার ভাঁজে চিরকুট চালান করলে দেবু।

"তোকে লালে বেশ মানায়"।


খানিক পর দীপা সেটা দেখতে পেয়ে চিরকুটের পিছনে লিখে ফেরত পাঠালে;
"আজকেকে তো সাদা সালোয়ার, লাল দেখলি কই?"।

দেবু নতুন চিরকুট লিখলে "আমার পকেটে ছুরি, আর মনে এইটুকু ভিসুয়াল ক্ল্যারিটি থাকবে না?"।

**
প্রেমের গল্প - ৩
"আই লাভ ইউ স্যুইট হার্ট"....
এই বলে পাশবালিশটা জড়িয়ে ধরলেন ভূতোবাবু।
- আমি না হয় মোটা, তাই বলে নিজের প্রেমিকাকে পাশবালিশ বলে ডাকবে গো?
- আমি না হয় ভূত, তাই বলে নিজের প্রেমিককে ভূতোবাবু বলে ডাকবে গো?


**
সাদা ফুলকে ভয় পান সমরেশ। 
ওরা রাতে ফোটে। ঠিক যেমন ভাবে মাঝরাতে সাদা থান গায়ে নীলিমা বারান্দায় আস; সেরকম ভাবেই রাতের কালচে নিস্তব্ধতায় সাদা ফুলেরা ফোটে।

সাদা ফুলেদের মতই, নীলিমাকে দেখেও ভয় পান সমরেশ। কিন্তু এর কোন মানে হয় না। 
মানুষ হয়ে ফুলকে ভয়? 
বর হয়ে বউকে ভয়? 
ভূত হয়ে মানুষকে ভয়?


**
রাতে পৌনে দু'টো। একদিকে আকাশ গুমোট করা মেঘ। অন্যদিকে মে মাসের ভ্যাপসা গরম। একটুও হাওয়া নেই।
এক প্রেমিক আর তার প্রেমিকা; গায়ে গা লাগিয়ে লেপ্টে শুয়ে ছাদে। আমি তাদের মুগ্ধ হয়ে দেখি, তাদেরই পাশে বসে।
প্রেমিকটি আমার সদ্য খুলে রাখা ডান পায়ের হাওয়াই চটি, প্রেমিকাটি বাঁ পায়ের।

**
"দেশ, বন্ধু, পরিবার, সম্মান, যশ, নিজের জীবন; সমস্ত ভাসিয়েছি। কিন্তু একবারের জন্যেও অনিচ্ছুক তুমিকে জাপটে ধরতে যাইনি।
তবু বলবে সবটাই স্পর্ধা? প্রেম নেই এতটুকু?"

নির্বাক সীতাকে পিছনে ফেলে আত্মহত্যার যুদ্ধে গেলেন রাবণ।

Comments

Anonymous said…
Bhabte gele ramayan e rabaner choritrotai ekmatro soja sapta...aar sobai to sudhu cholona

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু