Skip to main content

প্রশ্নোত্তর - ১

যদি যুধিষ্ঠির কে করা যক্ষের প্রশ্ন আর উত্তরগুলো যদি একটু অন্যরকম হত? কেমন হত? এর ওপর একটা লেখা অনেকদিন আগে পোস্ট হয়েছে।  এবার একটু অন্যরকম ভাবে প্রশ্ন উত্তরগুলো গুছিয়ে নেওয়া। এখানে প্রথম কিস্তি। 

ভালো কী ?
এগরোল।

খারাপ কী ?
ডিম ছাড়া যে কোন রোল। (চিকেন/মাটন রোল বলে কিছু হয় না, হয় এগ চিকেন নয় এগ মাটন। আদর্শ - ডাব্‌ল এগ চিকেন/মটন)।  

সুখী কে ?
সদ্য ভাজা এগরোল যার হাতে এই মাত্র এলো।

দুঃখী কে ?
এগরোলের ক্যালরি মাপেন যিনি।

সবচেয়ে দ্রুত কী?
এগরোল প্রেমীর “এগরোল খেতে হবে” চিন্তা।

সবচেয়ে শ্লথ কী?
রোলের অর্ডার দেওয়া আর হাতে পাওয়ার মাঝের সময়ে ঘড়ির কাঁটা খানি।

সব চেয়ে ভারী কী?
পেঁয়াজ কম শসা বেশি এগরোলের দায়ভার।

সব চেয়ে হালকা কী?
এগরোল খাইয়ের মেজাজ।

কলঙ্কের চেয়েও কালো কী?
ভেজ রোল।

হীরের চেয়েও দামী কী?
এগরোলের ভিতর সঠিক পরিমাণে টাটকা কাঁচা লংকা কুচি আর লেবুর রসের কম্বিনেশন।

সাফল্য কী?
নিখুঁত এগরোল বানিয়ের খোঁজ পাওয়া।

ব্যর্থতা কী।
এগরোল খুঁজে না পেয়ে প্যাটিস জাতীয় কিছু খাওয়া।

বন্ধু কে?
যে আনন্দ আর দুঃখ, দুই’ই এগরোল খাইয়ে ভাগ করে নিতে চায়।

শত্রু কে?
যে এগরোলে সস্‌ দিতে বারণ করে।

আদর্শ ভালোবাসা কী?
এগরোলের ডিম-লংকা-লেবু-নুন-পরোটা মাখা সুবাসের প্রতি।

আদর্শ ঘৃণা কী?
এগরোলের ভিতরে পনীরের পুরের প্রতি।





Comments

আমি এগরোলে সস দিতে বারণ করি। ওতে স্বাদের মাধুর্য নষ্ট হয়।
Unknown said…
"dada ekta eggrole din to,besi kore jhal dea"---
tanmoy da tumi grt

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু