Skip to main content

রবিবারের জলখাবার

হিং'য়ের কচুরী: দক্ষিণেশ্বর

বাঙালি রকেট হলে রবিবারের জলখাবার হলো Launching-Pad”- ছোটোমামা

সপ্তাহ কেমন কাটবে? মেজাজ দুরুস্ত থাকেবে তো? শরীর ঝ্যামেলায় ফেলবে না তো? হপ্তা-ভর সব কিছু খাপে খাপ খেলে যাবে তো? এর জন্যে একটাই Pre-Conditionজম্পেস রবিবাসরীয় জলখাবার
বাজার-বিজয় সেরে, হাত-পা ধুয়ে, টেবিলের ওপর আনন্দবাজার মেলে বসে, জলখাবারে ফোকাস; এর অন্যথা হয়েছে কী সপ্তাহের জন্যে মেজাজটা ধাপার মাঠ হয়ে যাবে। আর জলখাবারে থাকবে কী? একটা Ready Reference তৈরি করে রাখলাম:

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই লিষ্টি-টি ক্রমশ পরিশীলিত ও পরিবর্ধিত হবে, এমন আশা রাখি)

১। খাস্তা কচুরী-ছোলার ডাল-জিলিপি-দরবেশ

হিঙ্গের কচুরী-ছোলার ডাল-জিলিপি-রসগোল্লা

কড়াইসুটির কচুরি-নতুন গা-মাখা আলুর দম-চমচম (শীতকালীন)

৪। রাধাবল্লভী, আলুর দম, মুগ-ডালের হালুয়া, চমচম

৫। লুচি (ময়দার-গাওয়া ঘিয়ে ভাজা), আলু ভাজা (কালো জীরে মাখানো), বেগুনভাজা, গরম-রসগোল্লা

৬। মুড়ি-ঘন স্বর-মিশ্রিত দুধ-আম একসাথে মিশয়েশেষে আমের সরবত

৭। টাটকা ইলিশ মাছের পেটি ভাজা, বাঁসি ভাত মাছ ভাজা তেল ও কাঁচালঙ্কা দিয়ে মেখে, আজ্ঞে হ্যাঁ

৮। দুধ-খই, মুড়কি, কদমা, মঠ। সঙ্গতে স্বাদ-বদলির জন্যে ঝুড়ি-ভাজা। (বছরের সেই বিশেষ সময়টির জন্যে)

লিষ্টিতে আরও কিছু খাদ্য-মহীরুহ ঢুকবে অবশ্য! কিন্তু কী ঢুকবে না তাও নিশ্চিত। এই নিচের ফচকে ও-জলখাবারিক ব্যাপার-স্যাপার গুলো বাঙালি যত নিজের রবিবার থেকে দূরে রাখে ততই দেশের মঙ্গল, দশের মঙ্গল:

-পাউরুটি বিষয়ক কোনও কিছু ( না ফ্রেঞ্চ-টোস্টের নষ্টামিও নয়)
-নুডল (ম্যাগী-চাউমিন? রবিবারে? রামো: )
-কর্ণফ্লেক্স (এটা রবিবার কেউ ভাবলে তার উঠবোস করে নেওয়া উচিত, ১২ বার)
-যা কিছু মাইক্রোওয়েভ থেকে বেরিয়ে এসেছে

পুনশ্চ:রবিবার।বউ বাপের-বাড়ি গ্যাছে, সকালে Micro-waved-লাপসি-ম্যাগী খেয়েছি। ছোটোমামা ফোন করেছিল ডাল-কচুরী চিবুতে চিবুতেশুরুর বাকতাল্লাতা তখনই শুনিয়েছিলো
  





Comments

বাঙালির সাবেক জলখাবারটার উল্লেখ করেননি ছোটমামা: টক দই আর চিঁড়ে, নো চিনি-বাতাসা-সুগার ফ্রী, নো গুড়, নো চিটিং!

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু